১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম
মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদান
পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান

শিক্ষা প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশের জন্য উৎসাহ দেয়া হয় এবং সমাজের একজন উৎপাদনশীল সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভের জন্য যে সকল দক্ষতা প্রয়োজন সেগুলো অর্জনে সহায়তা করা হয়। সাধারণ অর্থে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই শিক্ষা। ব্যাপক অর্থে পদ্ধতিগতভাবে জ্ঞানলাভের প্রক্রিয়াকেই শিক্ষা বলে। তবে শিক্ষার উদ্দেশ্য হল সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের অব্যাহত অনুশীলন। শিক্ষার আলোয় জাতিকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে মহৎ ভূমিকা পালন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। তেমন একটি অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম নাকাইহাট কলেজ। নাকাইহাট কলেজ একটি উজ্জল আলোক প্রদীপের মত করে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। এই কলেজ শিক্ষার্থীদের ভেতরের সম্ভাবনাকে বাইরে বের করে নিয়ে আসতে বা বিকশিত করতে সাহায্য করছে।

অবস্থানঃ নাকাইহাট কলেজ গাইবান্ধা জেলা সদর হতে দক্ষিণে ১৮ কিঃমিঃ এবং গোবিন্দাগঞ্জ উপজেলা হতে ১৫ কিঃমিঃ উত্তর-পূর্বে গাইবান্ধা-গোবিন্দাগঞ্জ সড়কের নাকাইহাট নামক প্রাচীন স্থানে অবস্থিত।

ইতিহাস প্রতিষ্ঠাঃ ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম স্পিকার জনাব শাহ্‌ আব্দুল হামিদ মহোদয়ের নামানুসারে শাহ্‌ আব্দুল হামিদ কলেজ নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতায় অভাবে সেটি ১৯৭৭ সালে বিলুপ্ত হয়। এখানে একটি কলেজের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে আবারও ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে স্থানীও জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব আতাউর রহমান বেলাল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারনে উদ্যোগটি সফল হয় নাই। আবার ১৯৯২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করে আসা কিছু সংখ্যক তরুণ কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং সর্ব সাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও কিছু সংখ্যক উদ্যমী ব্যাক্তির সহযোগিতায় কলেজ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করা হয়। এবং নাকাইহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিম্নে উল্লেখিত অর্গানাইজিং/প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়।

মোঃ মোখলেছুর রহমানসভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গোবিন্দাগঞ্জ
খন্দকার মোঃ শফিকুর রহমানসিনিয়র সহসভাপতি

গ্রামঃ ডুমুরগাছা

ইউনিঃ নাকাইহাট

মোঃ আব্দুল বাকী খন্দকারসহসভাপতি

গ্রামঃ বাজুনিয়াপাড়া

ইউনিঃ হরিরামপুর

মোঃ মাহফুজার রহমান মন্ডলসদস্য

গ্রামঃ কুঞ্জনাকাই

ইউনিঃ নাকাইহাট

মোঃ আব্দুস সাত্তারসদস্যউপজেলা হিসাবরক্ষক,গোবিন্দাগঞ্জ
মোঃ আবুল কালাম আজাদসদস্য

গ্রামঃ খুকশিয়া

ইউনিঃ নাকাইহাট

মোঃ আবুল মান্নান খানসদস্য

গ্রামঃ ডুমুর গাছা

ইউনিঃ নাকাইহাট

মোঃ আব্দুস সাদেক সরকারসদস্য

গ্রামঃ রামপুরা

ইউনিঃ হরিরামপুর

মোঃ আয়নুল হক সরকারসদস্য

গ্রামঃ হরিপুর

ইউনিঃ হরিরামপুর

১০মোঃ আবু তায়েব সরকারসদস্য

গ্রামঃ নাকাই

ইউনিঃ নাকাইহাট

১১মোঃ মাহবুবর রহমান মন্ডলসদস্য

গ্রামঃ কুঞ্জনাকাই

ইউনিঃ নাকাইহাট

১২অ্যাড মোঃ আব্দুস সাত্তারসদস্য

গ্রামঃ রামচন্দ্রপুর

ইউনিঃ হরিরামপুর

১৩মোঃ শহিদুল রহমান সরকারসদস্য

গ্রামঃ রামপুরা

ইউনিঃ হরিরামপুর

১৪মোঃ মোস্তাইন বিল্লাহ (লুলু)সদস্য

গ্রামঃ ডুমুর গাছা

ইউনিঃ নাকাইহাট

১৫মোঃ আশরাফ আলী প্রধানসদস্য সচিব

গ্রামঃ রামপুরা

ইউনিঃ হরিরামপুর

নাকাইহাট কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে প্রাথমিক ভাবে ১৩/০৭/৯২ তারিখে ৯২১৫ নং দলিলমুলে নিম্নে উল্লেখিত ব্যক্তিগত নামাই মৌজার ১৭½ শতাংশ জমি দান করেন। তার বিবরণী-

দলিল নংতারিখদাতার নামদাগ নংজমির পরিমাণ
৯২১৫১৩/০৭/১৯৯২মোঃ আবর আলি প্রধান৫৩০০৫½ শতাংশ
মোঃ বয়াত উল্লাহ্‌ মন্ডল৫০২০৫ শতাংশ
মোঃ আজিজুল হক৫০২০৫ শতাংশ
মোঃ মাহফুজার রহমান মন্ডল৫০২০২ শতাংশ

আবার ৩০/০৭/৯২ তারিখে ১০৩২৬ নং দলিলমুলে ৩ ব্যক্তি নামাই মৌজার ১০½ শতাংশ এবং ০৮/০৩/৯৯ তারিখে ৩৯৮২ নং দলিলমুলে ১ ব্যক্তি নামাই ৪ শতাংশ জমি দান করেন।

দলিল নংতারিখদাতার নামদাগ নংজমির পরিমাণ
১০৩২৬৩০/০৭/১৯৯২মোঃ আইয়ুব আলি৫২৯০৪½ শতাংশ
মোঃ নজরুল ইসলাম৫৩০০১½ শতাংশ
মোঃ আবুল কুদ্দুস গং৫২৯০৪½ শতাংশ
৩৯৮২০৮/০৩/১৯৯৯মোঃ আবুল কাসেম এশ৫২৬০৪ শতাংশ

উক্ত জায়গায় বিগত ০৫/০৮/১৯৯২ তারিখে তৎকালীন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় সর্ব সাধারনের উপস্থিতিতে সভা করে কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা হয় এবং ৫ জন হাজী সাহেব উক্ত জায়গায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে সুচনা করেন।

বিগত ১৭/১১/৯২ তারিখে স্মারক নং-০৫/৯২ এর মাধ্যমে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মহাদয় বরাবর কলেজ এডিশন ১৯৯২-৯৩ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি অনুমদনসহ প্রাথমিক মুঞ্জুরি/স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হয়।

২৬/০৭/১৯৯৩ তারিখে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের তৎকালীন কলেজ পরিদর্শক জনাব লুৎফর রহমান সরকার কলেজ পরিদর্শন করেন এবং স্মারক নং- ১৯৯২-৯৩ শিক্ষা বর্ষ থেকে প্রাথমিক সিক্রিত/মুঞ্জুরি প্রদান করেন।

০৪/১২/৯৩ তারিখে দ্বাদশ শ্রেণীর স্বীকৃতির/মুঞ্জুরির জন্য আবেদন করা হয় এবং ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষা বর্ষে দ্বাদশ শ্রেণীর স্বীকৃতি প্রদান করেন।

দ্বাদশ শ্রেণীর স্বীকৃতির প্রাপ্তির পর এম,পি,ও ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয় এবং ০১/০৭/৯৪ তারিখ থেকে এম,পি,ও ভুক্ত হয়।

আশার বানীঃ বহু প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে নাকাইহাট কলেজ প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং এখন স্থানীয় সর্ব সাধারণের কাছে একটি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।

গুগল ম্যাপে এর অবস্থান